|
পাখিটা ঠিক তাক বুঝে ছিল।
ভিখু মুখে হুস করে শব্দ করার আগেই সে ছোঁ মেরে মাছটা
মুখে তুলে নিয়ে উড়ে গেল।ভিখু শুধু আকাশের দিকে করে তাকিয়ে থাকল।রোজ পাখিটা এসে এমনি করে মাছ চুরি করে নিয়ে চলে যায়।আর রোজ রোজ ভিখু এমনি করে ব্যর্থ পাহারায় বসে
থাকে।
কাল মেলা থেকে ভিখু একটা মুখোশ কিনে নিয়ে এসেছেবেশ।ডোরাকাটা বাঘের মুখোস।ভিখু খুব বুঝে গেছে মুখ আর মুখোসকে মিলিয়ে দিতে পারলেই কেল্লা ফতে। আজ বাঘের
মুখোসটা মুখে পরে ভিখু পাহারায় বসে আছে।মনে মনে বলছে ‘এসো তো বাপধন,দেখো কেমন
তোমাকে হালুম করে দিই’।তার হাতে একটা ঢিল।নীল পাখিটার অপেক্ষায় বসে থেকে তার যেন তন্দ্রা এসে গিয়েছিল।হঠাৎ ঝোপ-বনের কাছ থেকে খস খস
শব্দে তার তন্দ্রা ছুটে যায়।পাতা ঝোপের আড়ালে উদোম শরীরটা! তার মেয়ে পঞ্চি না! সঙ্গে দুলাল মহাজনের ব্যাটা?
কুঁকড়ে মাটিতে মিশে যেতে যেতে ভিখু তার বাঘটাকে আর খুঁজে
পাচ্ছে না!