অসুখ শরীর কবিতা: (এক)
-নিমাই জানা
-নিমাই জানা
শিথিল পুরুষ হয়ে শুয়ে থাকি ।
কংক্রিটের
ওপারে চাঁদ ।
এক প্রান্তে দিকভ্রান্ত ভবিষ্যৎ মুখে নিয়ে ভবিষ্যৎ
শুনছে-কুল গাছের
পাতা।
প্রহর জাগা পাখির মত ঘুম ভেঙে যায় প্রতিটি প্রহরের।
কেমন করে ঘুমায় সবাই!
ঘুম
কত সহজ,ঘুম কত কঠিন!
লালতীলের অজস্র লোমকূপ থেকে
বেরিয়ে
পড়ে সরু সরু জলজ সাপ।
কালো
বিছানা জুড়ে বিরক্তির খেলায় হেরে গিয়ে-
মাঝরাতে কলতলায় গিয়ে দাঁড়ায় ।
ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে শচীন ভবঘুরে হয়ে যায়,
কারো কাছে হাত পেতে জর্দা পান-বিড়ি খায়।
অসুখ শরীর কবিতা: (দুই)
-নিমাই জানা
চোখের মনি জোড়াকে স্থির রাখতে হয় শিব ঠাকুরের মতো।
শীতল দা পেরোলেই বটগাছ একেবারে
মাথার উপর ঝুঁকে আসে ।
ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র টিউশনে দুহাতে
শিরীষ ফুল খুঁজছে ।
অহেতুক বৃষ্টি ফোটার মূল্যহীন সকলের কাছে ।
একটি টায়ার দোকানের নাম সেকচক
।
রক্তচাপ নিয়ে সুখ খুঁজতে খুঁজতে বট গাছের পাতা মাড়ায় নি কেউ ।
জবা ফুল হাতে নিয়ে অনেকগুলো মানত
লাল ঘুমসীর গেরোয়-
আটকে আছে কালী মন্দিরে ।
পূর্ণিমার রাতে মা পালিয়ে যায় চাঁপাতলার পাড়ে ।
যারা জলে বোতল ভাষায় , আঙ্গুলের ডগায় নাচে ফ্রী ফায়ার ।
তাদের বাড়িতে মেহগিনি পাতায় ধান
সিদ্ধ হয় ।
এদের নারী ঠিক দ্রৌপদীর মতো ।
অসুখ শরীর কবিতা: (তিন)
-নিমাই জানা
রাত দুটোই কেবল সিভিক পুলিশ রাস্তা আটকায় ।
রাতে মুড়ি খায় ,পান খায় ,ওষুধ খায় ।
ভোররাতে কেউ কাউকে খাওয়াতে পারেনি ।
মধ্যরাত কেবল অশৌচ করে দেয় –
রক্তচাপ স্যালাইন শরীরে ঢুকে যাচ্ছে টিপ টিপ বিন্দু রেডিয়ামের মতো ।
পুলিশ হাতের মুঠো খুলে প্রমাণ খুঁজছে প্রেসক্রিপশনে ।
দোকানদারের নিরাপত্তা বৃত্তের ভেতর
ঢুকে গেলেই ,
অনেকটা পালস রেট কমে যাবে সরবিট্রেট ট্যাবলেট এর মতো।
অসুখ ক্রমশ জমাট-ছায়ায়
বেড়ে উঠছে জিভের নিচে।