আমার প্রিয় পাঁজর ।।নিমাই জানা
[১]
আত্মযোগের কোন
কাঁটাতার নেই
ক্ষত করতে
পারেনা কোন অসুস্থতাকে
শিমুল ফুলের
জন্ম নিয়ে রাস্তা ধরে কেউ হাঁটছে ।
বাজ পড়া
মেয়েকে বুকে নিয়ে ফিরে যাওয়া নিজের গ্ৰাম ঘরে ।
নদীর পাড়ে
অসম্ভব হাওয়া দিলে কেউ ফিরে আসে না ।
আমি তাহলে
নিজের ভেতর অস্তিত্ব খুঁজতে গভীর রাত কে বেছে নিয়েছি ।
ছেঁড়া ছেঁড়া
মেঘ নিয়ে ধরতে চাইছি অজানা ফসলকে ।
মেসোপটেমিয়া
থেকে অনেকগুলো গ্রীষ্মকালের সাদা ক্যানভাস পাওয়া,
সূর্য ডুবে
যাওয়ার পর লাল রং ঢেলে দিচ্ছে কোন বিষাক্ত পুরুষের ভেতর ।
পশ্চিমাকাশে ভোরের
তারা অনেক দেরি আছে ,
ভিতরের রক্ত
থেকে বেছে বের করছো প্রাণহীন কণিকা।
তাকে নিয়ে
জানালা তৈরি করা যায়
আমার চৌকাট
তিনঘরা দেশলাই কাঠির সুস্থতা কতক গুলো প্রদীপ পুড়িয়ে গেছে গন্ধ ছড়াতে ।
শুধু পটাশ
গাছের মাথায় ফুলেরা রেষারেষি করে দাম্পত্য মিলে রাখে ভেজা দড়িতে…..
[২]
ভেজা কাপড়
গায়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছে কৃষ্ণেন্দু
কপালে উড়ে এসে
বসে প্রজাপতির রেণু
কৃষ্ণ তোর
ঠোঁটেই মানায় আগুন খাওয়ার শখ,
শুয়ে আছে ভেজা
রঙিন কার্ড ,দেয়াল ফুল গাছ প্রতিটি প্রলয় রাতেই ঘটে গেছে আমার ভেতর,
মহাপ্রলয়ের
কালো রেখা আমার ঘাড়ে আমাদের কাছে কোনো বন্ধু নেই ।
আমি আর বন্ধুকে
বিশ্বাস করছি না ।
নিজের শরীর
সোজা হয়ে থাকে পাতাহীন বাঁশ গাছে ।
বন্ধুত্ব দেখো
জোনাকি, এরা মৃত্যু জানেনা বলে একটা ঝড় বয়ে গেছে এই কদিন আগে ।
টর্চের আলো
ফেলি পায়ের তলায় ,
ভেজা পালক
ছড়িয়ে আছে বারান্দায়,
ভেজা কাপড়
জানে ইটের পাঁজরের সাথে কিরকম আন্তরিকতা বেড়ে যায় দিন দিন--
আমাদের কাছে আর
কোন বন্দুক জাতীয় আগ্নেয়াস্ত্র নেই….
নিমাই জানা
রুইনানঃ
সবং-পশ্চিম মেদিনীপুর-৭২১১৪৪