রোদজাতক-৬ ৷৷ রত্না সোম
রোদজাতক-৬
স্পষ্ট বললে -
আরও কতগুলো যুদ্ধজাহাজ ঢেউয়ের দিকে
অস্ত্র তাক করে বসে থাকত।
স্পষ্ট করে বললে -
পারমাণবিক গবেষণাগারে বন্দি বিজ্ঞানের পিঠে
চাবুক কষিয়ে আদায় করে নেওয়া হত
আরও মারাত্মক কোন বিস্ফোরণ ।
স্পষ্ট কথা বললে -
সীমান্তে কাঁটাতারের মুখ রক্ত দিয়ে লাল রঙ
করে নেওয়া
হত বিপদ সংকেত ।
স্পষ্ট ভাষায় বললে -
সব আকাশের ডানা ছেঁটে দিয়ে খাঁচায় পোষ মানানোর
টুকরো
কবিতা লিখতে বাধ্য করা হত।
স্পষ্ট অক্ষরে বিঁধলে -
সমস্ত পাঠশালাদের দু চোখে বেঁধে দেওয়া হত
অন্ধত্বের
নাম নিশানা ।
স্পষ্ট সুরে গাইলে -
সব গানের টুঁটি চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে
মেরে ফেলার
চেষ্টায় ভালরকম বুঝিয়ে দেওয়া
হত
আর্তনাদ কাকে বলে ।
স্পষ্ট হাতের লেখায় লিখলে -
সব কাগজ কালি কলমের বিরুদ্ধে
বিশেষ আদালত বসানো হত -
স্পষ্ট প্রোগ্রামিং ঘেঁটে ঘ করে কম্পিউটারকে
যে কোন
সময় নির্বোধ বানিয়ে দেওয়াকে
মানবিক অধিকারের তকমা
পরানো হত।
স্পষ্ট শ্লোগানকে বিনা বিচারে কয়েদ করে রাখার জন্য
আনা হত নতুন আইনের হা হা হা হা -
তাই ঘুমের মধ্যে স্বপ্নের মত কুয়াশার সবকিছু অস্পষ্ট
খুব -
তার হাসি গান কথা কবিতা-সব -সব -
আজ আলো তার সব রশ্মিদের একজোট করতে
রাস্তায় বেরিয়ে দেখল-
অনুজীবরা অনেক অনেক কবর খুঁড়ে রাখছে
কেননা স্পষ্ট মৃত্যু চাপা না দিলে দূষণ ছড়াবে -
আর মরতে মরতে মরণ দু চোখে স্পষ্ট দেখল
আজ রোদ উঠেছে।